পড়ালেখা ও অনলাইনে অর্থ উপার্জন | ইন্টারনেটে সহজে অর্থ উপার্জনের সেরা কিছু পদ্ধতি
আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন
Table of Contents
আপনি একজন ছাত্র। আচ্ছা আপনি কি সারাদিনই পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন?
এই প্রশ্নটি যদি আমি আপনাকে করি তাহলে ৯৯% স্টুডেন্ট এ বলবে “না”। আর যদি সেটা হয় বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে একজন শিক্ষার্থী নিজেকে নতুনভাবে আবিস্কার করে। চারপাশের নানান অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়৷ একরকম ম্যাচুরিটি আসে। সেই সাথে তৈরী হয় নিজের একটা বাড়তি খরচ।
বাবা-মার পাঠানো সেসব খরচে নিজের চলাটা অনেকের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আর যদি বাবা-মার আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়৷
আজ আমি কিছু টিপস দিবো আপনাদের যেগুলো আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে। নিজের কিছু উপার্জনের পথ তৈরী হতে পারে। তো চলুন শুরু করা যাক….
অনলাইনে আয়, হ্যাঁ আমরা কমবেশি সবাই জানি ও শুনে থাকি। কিন্তু এই জিনিসটা কেন জানি কারো সহজে বুঝে আসতে চায় না। আমরা সবসময় ভালো কাজের সুযোগ থাকা স্বত্তেও কেন জানি নিজেদেরকে কাজে লাগাই না।
অনলাইনে আয় করতে কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন…
সেগুলো হলঃ সময়, পরিশ্রম, আগ্রহ, ধৈর্য্য, দক্ষতা।
শুরুতেই আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে – “আমার তো সময়ই নাই। আমি কিভাবে এসব কাজ করবো। পড়ালেখা করারই টাইম পাই না”। হুম কথা সত্য কিন্তু মাথায় রাখেন আপনি সারাদিন কি করেন? কলেজ/ভার্সিটি/টিউশনি/আড্ডা এসবের বাইরে আমাকে সময় বের করতে হবে৷
আর কাজ করার প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে। সাথে থাকতে হবে ধৈর্য্য৷ অনেকবার হয়তো আপনি সফল হবেন না। তবে মন রাখবেন একবার না একবার আপনি সফল হবেনই। এরকম মন মানষিকতা নিয়ে কাজে নামতে হবে।
বাংলাদেশে ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জনের অনেক পদ্ধতি রয়েছে। অনেকেই দ্বিধায় পড়েন, কোনটি করবেন এবং কোনটি করবেন না এই নিয়ে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের সুবিধা-অসুবিধা অনুযায়ী কিছু পদ্ধতি নিয়ে নিচে আলোচনা করছিঃ
ইউটিউবিংঃ
এই প্লাটফর্মটা বেছে নেওয়ার কারণ হচ্ছে। বর্তমান সময় ইউটিউব ছাড়া একদিনও চলে না। একটু ভাবুন ইউটিউব আপনার জীবনটাকে কতটা সহজ করেছে।
আপনি ভিডিও বানাতে ভালোবাসেন। আপনার অভিজ্ঞতা অন্যের সাথে শেয়ার করার মানষিকতা থাকে। তাহলে আপনার জন্য বড় প্লাটফর্ম হলো ইউটিউব। সাথে আপনি বাড়তি আয়ের সুযোগও পাবেন। এটি একধরনের স্মার্ট পেশা।
ব্লগিংঃ
অনলাইন জগতে আরেকটি স্মার্ট প্লাটফর্ম হচ্ছে ব্লগিং। আপনি যে আমার আর্টিকেলটি পড়ছেন। এতে আমি আপনাকে উদ্ধুদ্ধ করছি আমার এই ছোট্ট আর্টিকেল এর মাধ্যমে। এতে আপনি অনেকে কিছু জানতে পারছেন। এতে আমারও একটা বেনেফিট থেকে যাচ্ছে। আপনি আপনাকে জানিয়ে নিজের একটা ভালোলাগার জায়গা তৈরী হয়েছে, তেমনি আমার একটা বাড়তি আয়েরও সুযোগ হয়েছে।
গুগল এডসেন্সঃ
বর্তমানে সবচেয়ে সহজে কম পরিশ্রমে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হল এডসেন্স। উপরের দুটো বিষয়ের ব্লগিং ও ইউটিউবিং থেকে আয় করার মাধ্যম হল এডসেন্স। এর মাধ্যমে আপনি অনেক ভালো এমাউন্টের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আউটসোর্সিং
আপনি ওয়েবসাইট তৈরী কিংবা মার্কেটিং এর ঝামেলায় যদি যেতে না চান, অথচ কম্পিউটারের কোন কাজে দক্ষ। সেটা ফটোশপ ব্যবহার করে হোক অথবা গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং থেকে ডাটা এন্ট্রি, ভিডিও এডিটিং কিংবা এনিমেশন যে কোন কিছুই হতে পারে। তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং উপযুক্ত। কাজ দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলি প্রতিস্ঠান রয়েছে মধ্যস্থতা করার জন্য । সেখানে নিজের নাম তালিকাভুক্ত করবেন (কোন খরচ নেই), তাদের কাজের তালিকা দেখে এপ্লাই করবেন, কাজ পাওয়ার পর কাজ করে জমা দিবেন। আপনার একাউন্টে সেই কাজের পারিশ্রমিক জমা হবে। ঘন্টাপ্রতি নির্দিষ্ট কাজ অনুযায়ী অথবা এককালীন চুক্তি অনুযায়ী ফ্রিলান্সিং কাজে পেমেন্ট দেয়া হয়। কাজের জটিলতা অনুযায়ী আয় কয়েক ডলার থেকে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্তও হতে পারে এই চুক্তি। মধ্যস্থতাকারী থাকে বলে টাকা হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। www.freelancer.com , www.odesk.com, fiverr.com ইত্যাদি এধরনের কাজে অন্যতম প্রতিস্ঠান।
এফিলিটেড মার্কেটিংঃ
এফিলিটেড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সীমা হচ্ছে আকাশ। আপনি যত চেষ্টা করবেন তত বেশি আয় করবেন। আপনার কাজ হচ্ছে ইন্টারনেটে যারা কিছু বিক্রি করে (পন্য বা সেবা) তাদের হয়ে প্রচার করা।
আরো কাজের হাজারো সেক্টর আছে। যেগুলো আপনাকে একটা দ্বিধায় ফেলে দিতে পারবে। এমন অবস্থায়, আপনি প্রায়োরিটি দিবেন৷ আপনার যেটার প্রতি মন বেশি যায়। যেকোনো একটা বেছে নিয়ে কাজ শুরু করে দেন৷ ব্যাস! লেগে থাকুন, সফলতা না পেলে চেস্টা করে যান। সফলতা আসবেই।
Write a Comment